মুখের ত্বকের যত্ন আমরা সবাই নিয়ে থাকি।মুখের পাশাপাশি অনেকে হাত ও পায়ের যত্নও নিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের শরীরের একটা অংশ প্রায় সময়ই অবহেলায় পড়ে থাকে। সেটা হল আমাদের ঘাড় ও পিঠ।
আমরা যখন বাইরে বের হই আমাদের মুখ ও হাতের সাথে সাথে ঘাড়েও রোদ ও দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ি ফিরে আমরা যখন আয়না দেখি, আমরা শুধু মুখের ক্ষতিটাই দেখতে পাই এবং সেটারই যত্ন নেই। ফলে ঘাড় ও পিঠের খোলা অংশ আস্তে আস্তে মুখের তুলনায় কালো হয়ে যেতে থাকে এবং একসময় এই রঙের পার্থক্য খুব বেশি চোখে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হল-
আমন্ড- ত্বকের যত্নে আমন্ডের কোনো তুলনা হয় না। এর বিভিন্ন উপাদান ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। আমন্ড ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে রেখে দিন। এবার এটি বেটে নিন।
এবার এক চা চামচ আমন্ড বাটা, এক চা চামচ গুঁড়ো দুধ আর এক চা চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এরপর ধুয়ে ফেলুন। যদি আস্ত আমন্ড না পান তবে আমন্ড পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। ভাল ফল পেতে চাইলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।
ওটস্ –ঘাড়ে নিয়মিত স্ক্রাবিং করাটা খুবই জরুরী। আর স্ক্রাবার হিসেবে ওটস্ এর তুলনা হয় না। দুই চা চামচ ওটস্ গুড়োর সাথে পরিমাণমত টমেটো পিউরি মেশান। এবার এই মিশ্রণ আপনার ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর হালকা হাতে ঘাড়ে স্ক্রাব করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে সব ময়লা উঠে আসছে।
এই স্ক্রাব আপনার ঘাড়ের ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলবে এবং টমেটোর ব্লিচিং উপাদান ত্বকের রঙ হালকা করবে।
অ্যালোভেরা –ত্বকের কালো ভাব দূর করতে অ্যালোভেরার জুরি নেই। আপনি এটা সরাসরি লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার নির্যাস বের করে নিন এবং এটি সরাসরি আপনার ঘাড়ের ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে হলে রোজ একবার ব্যবহার করুন।
বেসন -বেসন, টকদই আর সামান্য মধু মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরী করুন। এটি ঘাড়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হাত দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেশ পরিস্কার দেখাবে।